সুস্থ থাকতে কী খাবেন না!!::
বর্তমানের বিশ্বায়ন ও অত্যাধিক টেকনোলজির যুগে যে হারে মানব সভ্যতার যান্ত্রিকতা ও বহিঃর্বিশ্বের উন্নতি হয়েছে, ঠিক উল্টোহারে মানুষের স্বাস্থ্য ও মানবতার অবনতি হয়েছে! মানব জাতির মননজগতকে নির্মলতা ও শুদ্ধিকরণের পন্থা মনুষ্যত্বের গুণ দিয়ে অর্জন করতে হবে৷ ঠিক তেমনি স্বাস্থ্য- অবনতির অগ্নিশিখাকে নির্বাপিত করতে যে পাণীয় ও খাদ্য দিয়ে দেহ গঠিত হয়, সেই পাণীয় ও খাদ্যকে নির্মল ও পরিশুদ্ধ করতে হবে৷ কিন্তূ, যুগের পরিস্থিতি ও দূষনের প্রবলতায় পাণীয় থেকে খাদ্য—কেউই ভয়াল আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাবেনা৷ আজ অন্দরে-বাহিরে সর্বত্র বিভিন্ন মাত্রার রেডিয়েশন, বিভিন্ন টেকনোলজি ও গ্যাজেটে বিভিন্ন ভারী পদার্থের বা হেভি মেটালস এর ব্যবহার, প্রতি মিনিটে পনেরো থেকে পঁচিশ বার যে প্রশ্বাস নিই—তাতে পেট্রোকেমিক্যালস- বিভিন্ন রকম বিষ, যে জল পাণ করি তাতে বিভিন্ন জীবাণু, হেভি মেটালস, বিষ; যে খাদ্য গ্রহণ করি তা পেষ্টিসাইডস, ফাঙ্গিসাইডস, GMO – প্রভৃতি৷
এত বিষাক্ততার মাঝে নিমজ্জিত এই দেহ কীভাবে ভাল থাকবে? কতদিন ভাল থাকবে?
তবুও ঐসকল বিষাক্ততার ভয়াল আগ্রাসন থেকে মস্তিস্ক, হার্ট, কিডনি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অর্গানগুলিকে রক্ষা করতে ফার্স্টলাইন ডিফেন্স হিসাবে আপনার লিভার সমস্ত বিষকে প্রোসেসিং করে গল ব্লাডার—ক্ষুদ্রান্ত্র—বৃহদন্ত্র—পায়ু দিয়ে মল দিয়ে কিছু বের করে, কিছু লিভারে সন্চিত রাখে৷ একটা সময় লিভার অভারবার্ডেনড্ হয়— স্লাগিশ হয়—ফ্যাটি হয়—সিরোসিস হয় ৷ সঙ্গে শুরু হয় নানা শারিরীক জটিলতা ও নানা ধরণের সিম্পটমস৷
আজকের এই যুগে, পেটের গ্যাস, হজমের সমস্যা, মিউকয়েড স্টুল, কষ্ঠ্যোকাঠিন্য, প্রভৃতি পেট সংক্রান্ত সমস্যায় প্রায় সকলেই ভুগছে!!
এটা আমরা সামান্য সমস্যা বলে অবহেলা করি বটে, তবে এগুলিই আগামীদিনে জটিল নানা অসুখের সূত্রপাত! লিভার যদি ফাংশানালী লো হয়ে যায়, তবে অন্যকোন অর্গানই রেহাই পাবেনা৷
তাই, অভিজ্ঞ ও কোয়ালিফাইড ডাক্তার দেখিয়ে আগাম ব্যবস্থা নিবেন—এটাই প্রত্যাশিত৷ তবুও, ঠিক কী কী না খেলে আপনার লিভারকে সাপোর্ট করতঃ আপনি বেটার স্বাস্থ্য উপভোগ করবেন— তার জন্য নিম্নের কিছু খাবার গুলি পারতঃপক্ষে এড়িয়ে চলুন৷ প্রত্যেকটি নিম্নের খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা — কেন খাওয়া উচিৎ নয়, কারা খেতে পারেন এই সব —জায়গার পরিস্থিতিতে করলাম না৷ তবে, সময় সুযোগ হলে, পরে করা যাবে৷
- ১) ডিম
২) মাংস সবরকম
৩) দুধ ও দুধজাত দ্রব্য
৪) গম ও গমজাত দ্রব্য
৫) সয়াবিন
৬)কর্ন
৭)ক্যানোলা অয়েল
৮) সাদাতেল
৯) আর্টিফিসিয়াল স্যুইটনার ও ফ্লেভার
১০) MSG, Aspertameকিছুদিন মেনে চললেই আপনার শারিরীক সমস্যার অপনোদন উপলদ্ধি করতে পারবেনই৷
কারো কোন আরো জিজ্ঞাসা থাকলে, আমার সাইটে প্রশ্ন করুন— www.dryearali.com