মানুষের প্রতিটি কথা,প্রতিটি কাজ,প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি বিশ্লেষণ,প্রতিটি ব্যবহার,প্রতিটি দূরদর্শীতা,প্রতিটি অধ্যয়ণ, প্রতিটি গবেষণা,প্রতিটি ব্যবহারিক প্রয়োগ প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই চেতনা বা চিন্তাশীলতা বা মনের ভাবনা বা মনের মধ্যে লালিত অভিপ্সা —যদি “লা ইলাহা ইল্লাহু” না হয়, তবে সেটা মহান সৃষ্টিকর্তা, মহাবিশ্বের একচ্ছত্র অধিপতি, মহাপরিচালক , একমাত্র রব , একমাত্র উপাস্য আল্লাহর নিকট কক্ষনই গৃহিত হয়না৷ ইখলাস সবক্ষেত্রে, সর্বাস্থায় ১০০% না হলে আল্লাহ গ্রহণ করেন না৷ পৃথিবীতে মানুষদের জন্য এটা সর্বোতভাবে প্রমাণ ও প্রয়োগ করাটাই আল্লাহর নির্ধারিত পরীক্ষা৷ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মানেই চিরজীবনের মত জান্নাত লাভ! ইহকালেও সফলতা ,পরকালেও সফলতা! এমনি এমনি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কক্ষনই যায়না৷ ইব্রাহীম (আঃ)এর মত আগুনে পড়তে হয়, মুসা (আঃ) মত নীলনদ পার হতে হয়, ইউসুফ (আঃ) এর মত কারাগারে বিনাদোষে বন্দী থাকতে হয়, মুহম্মদ (সঃ) এর মত যুদ্ধে রক্তাক্ত হতে হয়,নিজভিটা শহর ছেড়ে দূরে কোথাও হিজরত করতে হয়৷ যুগে যুগে আল্লাহর সমীপে প্রিয় হওয়া প্রত্যেকটি বান্দাকেই নানা পরীক্ষায় ধৈর্য্য ও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” এর পরীক্ষা দিতে হয়েছে৷ কষ্টিযাচাই করে ” অন্তরে লালিত ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ ” এর পরিশুদ্ধি করা হয়েছে৷ বিশুদ্ধতম ও কলুষিতা মুক্ত, একত্ববাদী ও শির্কবিবর্জিত অন্তরের প্রথম ইবাদত ” ঈমান” কে খাঁটি করতে হয়েছে৷ তবেই ইহকালের জৌলুশ,ক্ষমতা,সম্পদ ঐ ঈমানদারের পদদলে লুটিয়ে পড়েছে৷সম্পদের ,ক্ষমতার পিছনে নয় বরং ঈমানদারের পিছনেই ক্ষমতা,সম্মান,সম্পদ ছুটেছে! আবার, পরকালে মৃত্যু পরবর্তীতে রয়েছে চিরকালীন শান্তির আবাস ,সকল মানুষের একান্ত বাসনা “জান্নাত” ৷
আর আমরা???
কোন পর্যায়ের “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” অন্তরে লালন করি যে আমাদের কথা,কাজ,অধ্যয়ণ,গবেষণা,ব্যবহার,চরিত্র সবকিছু শির্কে ভরপুর,বে-ইখলাসে টইটূম্বুর !
তাহলে, মসজিদ নিয়ে নয়—প্রশ্ন আমাদের ঈমানের ১০০% এর খাঁটিত্বে!
আল্লাহর সাহায্য শুধুমাত্র ঈমানের ও ধৈর্যের সাথে সম্পৃক্ত৷
- আল্লাহ আমাদের সঠিক ও সত্য বুঝ দান করুক৷