“মানুষকে” তার শরীরে কীভাবে অসুখ তৈরী হচ্ছে—এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়াটা
চিকিৎসকদের জন্য একটি নৈতিক কর্তব্য মনে করি৷ যাতে করে মানুষ সুস্থ থাকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে খাদ্যাভ্যাস,ঘুম,চিন্তাধারা,মন মানসিকতা,পরিবেশ,দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি,চলাফেরা,বিষাক্ত জিনিষপত্র থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে৷
মানুষের দেহের জন্য নিম্নের দুটি কথা ধ্রুব সত্য৷ কক্ষনই এর ব্যতিক্রম হবেনা—
১) দেহের কোন অসুখই আপনা আপনি হবেনা৷ বাহির থেকে প্রবিষ্ট কোন বস্তূ বা জীব অথবা বাহিরের কোন আঘাত -দেহের ভিতরের বিভিন্ন অঙ্গ বা কোষকে আঘাত করে অসুখ তৈরী করবে৷
২)দেহের যে কোন ক্ষত—দেহ নিজে থেকেই হিলিং করে নেওয়ার প্রচন্ড ক্ষমতা রাখে৷ তবে, এই হিলিং এ সাপোর্ট করলে দেহের জন্য লাভদায়ক হয়৷
মানুষের দেহের ও মনের উপর কসমিক প্রভাব,চিন্তাশীলতার প্রভাব,জীবনের মানের প্রভাব,চরিত্রের প্রভাব,পারস্পরিক সম্পর্কের প্রভাব,দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদির প্রভাব, খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব—কতটা মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী , আপনি জাষ্ট কল্পনা করতে পারবেন না৷
চলুন একটা উদাহরণ দিই৷
ধরুন,একটা বড় কড়াইএ বিভিন্ন মশলা,তেল,জল,আলু,পটল,আরও নানাবিধ শব্জী দিয়ে একটা তরকারী করছেন৷ কড়াই এর নিচে উত্তপ্ত আগুনের লেলিহান শিখা৷ এখন, এমন কী সম্ভব ঐ কড়াই এ থাকা আলু বা পটলের ক্ষেত্রে সিদ্ধ না হওয়া!!! ঐ উত্তাপের প্রভাব কড়াই এ থাকা প্রত্যেকটি বস্তূর উপর পড়বেই৷
ঠিক তেমনি, এই মহাবিশ্বের অগনিত সৃষ্টি ও তার আচরনে এই পৃথিবীতে থাকা ম্যাক্সিমাম ১০০ কেজির একটি সৃষ্টির উপর কোন প্রভাব পড়বেনা—এটা হতেই পারেনা৷ মানুষ সৃষ্টিগতভাবে দূর্বল৷ আল্লাহ তেমনভাবেই তৈরী করেছেন৷ মানুষের কথা ও চিন্তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী,কিন্তূ দৈহিক প্রভাব তেমন নেই বললেই চলে৷ একফোটা জমাট রক্তে সৃষ্ট এই মানুষ একফোটা জমাট রক্তেই মহুর্তেই শেষ হয়ে যেতে পারে৷
তাই, এই দেহটাকে সুরক্ষিত রাখতে প্রপার ও সত্য,সঠিক গাইডলাইন ও বাস্তবিক প্রেক্ষাপট অস্বীকার করার কোন উপায় নেই৷